আইকিউ টেস্টে আইনস্টাইন-হকিংকে ছাড়িয়ে ইরানি কিশোরী

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯ ১৪:২২ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৯৭ বার।

মাত্র ১১ বছর বয়সেই  বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ)-র পরীক্ষায় প্রখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিংকে ছাপিয়ে গিয়েছে ইরানি কিশোরী তারা শরিফি।

সম্প্রতি মেনসা-র আইকিউ টেস্টে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে যুক্তরাজ্যের এ স্কুল শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় শরিফি পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৬২ নম্বর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনস্টাইন বেঁচে থাকলে তার আইকিউ হতো ১৬০। স্টিফেন হকিংয়ের আই কিউও ছিল ১৬০। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসেরও একই নম্বর।

সেদিক দিয়ে এ তিন প্রতিভাবানকেই ছাড়িয়ে গেছে বাকিংহামশায়ারের আইলসবারি হাই স্কুলের এই ইরানি ছাত্রী।

মেনসা উচ্চ আইকিউসম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি ফোরাম। সারা পৃথিবীর একশ’রও বেশি দেশের সদস্য নিয়ে ফোরামটি গঠিত। ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আইকিউ টেস্ট গ্রহণকারীদের মধ্যে তারাই সবচেয়ে পুরোনো।

বুদ্ধিমত্তা প্রমাণের জন্য আগ্রহীদের বসতে কঠিন এক পরীক্ষায়। অংশগ্রহণকারীদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সিরিজ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, সেইসঙ্গে তাদের দেওয়া শব্দসমূহের প্রতি গভীর মনোযোগ রেখে সেটি আলোচনা করতে হয়। প্রশ্নে কী থাকে এবং কীভাবে উত্তর দিতে হবে সে সম্পর্কে পূর্ব থেকে কোনো ধারনা পায় না তারা।

আইএফপি নিউজ জানায়, পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অক্সফোর্ডের সবাইকে অবাক করে দেয় শরিফি। মেনসার আইকিউ স্কোর যদি কারও ১৪০ এর বেশি হয় তবে সে জিনিয়াস বা প্রতিভাধর হিসেবে বিবেচিত হয়। শরিফির মতো আগেও বেশ কয়েকজন অল্পবয়সী শিক্ষার্থী একই ধরনের স্কোর অর্জন করে প্রতিভাধর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মেয়ের সাফল্যে রীতিমত চমকে গেছেন শরিফির বাবা হোসেইন শরিফি। মেয়ের এমন বুদ্ধিমত্তার স্বীকৃতি দেখে গর্বিত বলে তিনি জানান।