এরশাদের ‘ফুসফুসে পানি জমেছে’

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০১৯ ১৫:১১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৩ বার।

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ফুসফুসে পানি জমেছে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।

তারা জানান, শনিবার তার শারীরিক অবস্থার ৫০ শতাংশ উন্নতি হলেও রোববার সকালে হঠাৎ অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

এরশাদ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় জাপা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানান পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই জি এম কাদের।

তিনি বলেন, ‘(এরশাদের) ফুসফুসে পানি জমেছে। সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওষুধের পরিবর্তন করে ইনফেকশন বন্ধের চিকিৎসা চলছে। সকালের পর অবস্থার আর অবনতি হয়নি। এমন চলতে থাকলে এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে’।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে তবে তা চিকিৎসকদের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে। এ মুহূর্তে সিএমএইচের চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে। ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের চিকিৎসায় অর্থ সংকুলান প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে অর্থের অভাবে পার্টির চেয়ারম্যানের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না- এটা সম্পূর্ণ ভুল। আমার যা কিছু আছে সর্বস্ব দিয়ে হলেও ভাইকে সুস্থ করার জন্য আমি ব্যয় করতে প্রস্তুত। তা ছাড়া তিনি তো এখনো সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাবেক সেনাপ্রধান তার চিকিৎসার অর্থ রাষ্ট্রও দেবে’।

সংবাদ সম্মেলনে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি।

অসুস্থতার জন্য এরশাদ তার দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যোগ দিতে পারছেন না।

রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হুইলচেয়ারে জাতীয় সংসদে শপথ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।

ঈদুল ফিতরের আগে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে আসেন এরশাদ। সেটাই ছিল তার জনসম্মুখে শেষ আসা। এরই মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে তাতে তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেছেন।