দুধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করার নির্দেশ

পুন্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০১৯ ১২:০৫ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৪ বার।

দুধ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় এমন প্রতিবেদন ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত। খবর সমকাল অনলাইন 

আদালতে বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

শুনানিকালে 'আদালত পাস্তুরিত দুধ নিয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন' শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিএসটিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত। বলেন, দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা কোনো আদেশ দিইনি, মতামতও প্রকাশ করিনি। অথচ আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিলেন। আপনার এই বক্তব্যের পর প্রাণ গ্রুপ সংবাদমাধ্যমে হাইকোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের পণ্যের গুণগান প্রচার করছে। এই দুধ খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তার দায় কে নেবে?

এরপর আদালত তাদের আদেশ ছাড়া সংবাদমাধ্যমে কোনো বক্তব্য না দিতে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জুলাই পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া প্রতিবেদন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধে ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।  প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ। এরপর গত বছরের ২১ মে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন ও বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খাদ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে দেওয়া এই নির্দেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার 'সলিড নট ফ্যাট' পাওয়া যায়নি। এসব দুধে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।