পরীক্ষার প্রশ্নে সেফুদা, সেই শিক্ষক বরখাস্ত

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০১৯ ১২:৩৮ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৫ বার।

বিতর্কিত সেফাতুল্লাহ সেফুদাকে নিয়ে দশম শ্রেণির সৃজনশীল প্রশ্ন করায় রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের একজন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইন 

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম জাহিনুল হাসান। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির একজন ভাইস প্রিন্সিপ্যালকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক।

দশম শ্রেণির প্রাক্–নির্বাচনী পরীক্ষায় একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ওই প্রশ্নপত্রের একটিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত প্রবাসী সেফাতুল্লাহ সেফুদাকে উদ্দীপক ধরে প্রশ্ন করায় সমালোচনা হচ্ছে।

বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির। ভাইরাল হওয়া ওই প্রশ্নপত্রটি দিয়ে ৪ জুলাই দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হয়।

সৃজনশীল প্রশ্নটির উদ্দীপক হিসেবে লেখা হয়, ‘অদ্ভূত ধরণের এক মানুষ, সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে- ‘মদ খাবি, মানুষ হবি, আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম’। তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বললেন, তার মধ্যে যদি ইমানের সর্বপ্রথম এবং সর্বপ্রধান বিষয়ের প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে ওঠতো একজন আত্মসচেতন এবং আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি’।

প্রশ্নপত্রটিতে উদ্দীপকের আলোকে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক ৪টি প্রশ্ন করা হয়।

প্রশ্নগুলো হলো- ‘আকাইদ কী?, ‘ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?’, ‘বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো’। এবং তরুণদের উদ্দেশে দেয়া সেফুদার বক্তব্যটি কীসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো’।

রাজউক স্কুলের মতো দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্রে সেফুদার বিষয়টি উল্লেখ করা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত মনে হয়েছে। প্রশ্নটি নিয়ে ব্যাপক ট্রল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।