ধুনটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষঃ আহত ৮

ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৮৩২ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় চিকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন: চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন, চিকাশী গ্রামের ইউনুস আলী মন্ডলের ছেলে আমিনুর রহমান (৪০), ইয়াকুব আলীর ছেলে সুমন (৩৫), তফিছ মন্ডলের ছেলে ওমর আলী (৫৫), চাঁন মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন শাহিন (৪০), বরকত সরকারের ছেলে আব্দুল খালেক (৬০), সাইফুল ইসলামের ছেলে পলাশ (৩৫) ও ধুনট সদর পাড়ার সবদের শেখের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজন শেখ (৩৮)। তাদের মধ্যে আমিনুর রহমান, আনোয়ার হোসেন শাহীন, আব্দুল খালেক ও পলাশকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিকাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যের ৪টি পদে (দু’জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। দু’টি প্যানেল থেকে মোট ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দেন চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেফ বাদশা এবং অপরটির নেতৃত্বে ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন। ভোট গ্রহণ চলাকালে দুপুর দেড়টায় অভিভাবক সদস্য দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ নিয়ে সহিংস ঘটনা ঘটে।

চিকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন জানান, তার লোকজন ভোট কেন্দ্রের বাইরে ফলাফলের অপেক্ষা করছিলেন। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষ আলেফ বাদশার লোকজন তাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেফ বাদশা। তিনি বলেন, ‘আমার লোকজন নিরব ভুমিকা পালন করছিলেন। প্রতিপক্ষই উল্টো আমাদের উপর আক্রমণ করে আমাদের লোকজন কে আহত করেছেন।’

ধুনট উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে সহিংষ ঘটনা ঘটেনি। তবে কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেছে।

ধুনট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।