ফ্রিতে কোক না দেয়ায় গাড়িচালককে বোতল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:৪১ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৩৬ বার।

ফ্রি কোক না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জে তোফাজ্জল হোসেন নামে কোকা-কোলা কোম্পানির এক কাভার্ডভ্যান চালককে কোকের বোতল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহজাহান নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত যুবক সুমন পলাতক রয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইন 

নিহত তোফাজ্জল হোসেন (৫০) শহরের খানপুর রেললাইন এলাকার বাসিন্দা মৃত মোসলেম চৌধুরীর ছেলে। গত এক বছর যাবৎ তিনি কোকা-কোলা কোম্পানির নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিস্ট্রিবিউটর শাখার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে আসছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত তোফাজ্জলের সঙ্গে থাকা কোকো-কোলা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সৌরভ জানান, বৃহস্পতিবার চাষাঢ়ায় বিভিন্ন দোকানে মালামাল সরবরাহ করে কাভার্ডভ্যান নিয়ে বালুরমাঠ এলাকায় প্রবেশ করেন তারা। এ সময় রডের দোকান রাজা স্টিল মিলের সামনে ওই দোকানের কর্মচারী শাজাহান ও পাশের দোকান রায়হান স্টিল মিলের মালিকের ভাই সুমন তাদের গাড়িটি থামায়।

এ সময় সুমন কাভার্ডভ্যানচালক তোফাজ্জলের কাছে বিনামূল্যে কোকা-কোলা খেতে চায়। তোফাজ্জল এতে রাজি না হওয়ায় সুমন ও শাহজাহান মিলে তার কাভার্ডভ্যান থেকে কোকা-কোলার বোতল নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তোফাজ্জলকে শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, নিহতের শরীরে বোতল দিয়ে পিটানোর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুইজনের মধ্যে একজনকে আটক করা হলেও সুমন নামে মূল অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।