ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ অগাস্ট ২০১৯ ১৪:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১০৩ বার।

বাগেরহাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে তাপস রানা (৩৬) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। 

রোববার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এসএম সাইফুল ইসলাম এই রায় দেন। এ সময় তাপস রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত তাপস রানা জেলার চিতলমারী উপজেলার পাড়ডুমুরিয়া এলাকার সুশীল রানার ছেলে এবং ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক তাপস রানা ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে যান। এ সময় ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে  তাপস রানা তাকে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে ১৫ মে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে দেখা যায় সে গর্ভবতী। এরপর ২০ মে তাপস রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যান মেয়েটিকে। সেখানে অত্যাচার করে জোড়পূর্বক গর্ভের সন্তান নষ্ট করে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ জুন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তি তর্ক শেষে মামলার প্রধান আসামি তাপস রানাকে যাবজ্জীবন এবং অন্য তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন সেখর রানা, দুলাল রানা ও আনন্দ রানা।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ছিদ্দিকুর রহমান খান। আসামি পক্ষে ছিলেন শেখ মো. শরীফুল ইসলাম ঠান্ডু।