ধুনটে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ১৫০ মিটার ধসে গেছে

ধুনট উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:০৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৪৬৭ বার।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যুমনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ১৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে নদী তীরের এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।

গ্রামবাসী জানান, রোববার ভোর ৪টা থেকে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ী-বড়ইতলী গ্রামের পুরান বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ধস শুরু হয়। তীর ভেঙ্গে পানিতে পড়ার শব্দে তীরবর্তী এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। পরে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খবর দেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৩১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বানিয়াজান স্পার থেকে পুকুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার যমুনা নদীর তীর সিসি ব্লক দিয়ে মুড়িয়ে ওই প্রকল্পের কাজ করে। এতে নদী ভাঙনের হাত থেকে তীরবর্তী এলাকা রক্ষা পাওয়ার কথা। কিন্তু যমুনা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে তীরবর্তী এলাকায় ঘুর্নায়বর্তের সৃষ্টি করে। যার কারনে রোববার ভোররাতে বড়ইতলী এলাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ধস শুরু হয়। এদিকে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ধসে যাওয়া স্থান থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে পুরানো বাঁধ। ওই বাঁধে প্রায় ২ শতাধিক পারিবার বাস করে। এসব পরিবারের মাঝে ভাঙন আতংক বিরাজ করছে।

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনার বুকে অসংখ্য চর জেগে উঠছে। নদীর পানি তীরবর্তী এলাকা দিয়ে বহমান। যার কারনে পানির আঘাতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ধসে গেছে। দ্রুত ধসে যাওয়া স্থান মেরামত না করলে তীরবর্তী এলাকায় কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের শিকার হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধসে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি। ধস ঠেকাতে দ্রুত বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত মেরামত কাজ সম্পন্ন করা গেলে ভাঙন রোধ হবে।