শেরপুরে আহত গন্ধগোকুল ছানা সুস্থ হয়ে ফিরে গেল আপন ঠিকানায়

আইয়ুব আলী, শেরপুর উপজেলা (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৭৭৫ বার।

বিপন্ন প্রাণি ‘গন্ধগোকুল’। প্রাণিটি অনেকের কাছে ‘তাল খাটাশ’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি এমন একটি মা গন্ধগোকুলসহ চারটি বাচ্চার সন্ধান মেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সীমাবাড়ী বাজার এলাকায়। কিন্তু কিছু মানুষের চিরচেনা কুৎসিত দৃষ্টি পড়ে সেই মা গন্ধগোকুলসহ তার ছানাদের ওপর। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তারা মা গন্ধগোকুলকে হত্যা করে। একটি ছানাও লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত হয়। 

তিনটি ছানা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আহত ছানাটি পড়ে থাকে। সীমাবাড়ী ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামে মুঞ্জিল সেখ আহত সেই ছানাটিকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি ছানাটিকে নিয়ে যান যান বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বাধীনজীবন’-এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিমের কাছে। 

প্রায় ২৮ দিন পরিচর্যার ছানাটি সুস্থ হয়ে ওঠে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সামীবাড়ী বাজার এলাকায় ছানাটিকে অবমুক্ত করা হয়। খাঁচায়বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়া মাত্র গন্ধগোকুল দৌঁড়ে পাশের ঝোপঝাড়ে চলে যায়। এসময় ‘স্বাধীনজীবন’-এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধক্ষ্য টিটু সরকার, সদস্য বুলবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সীমাবাড়ী ইউনিয়ন শিক্ষক কল্যাণ সমিতি সভাপতি আলমগীর কাজী, সীমাবাড়ী ইউপি রেজাউল করিম রেজা, সীমাবাড়ী এসআর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃদুল মির্জা উপস্থিত ছিলেন। 

আব্দুর রাজ্জাক আহত গন্ধগোকুলের ছানাটিকে তিনি কালিয়াকৈর গ্রামের নিজ বাড়িতে রাখেন। নিয়মিত মুরগির মাংস, কলিজ্বা, কলা, দুধ, পেঁপে, আপেল, আঙ্গুরসহ নান ধরনের খাবার খাওয়াতে থাকেন। এভাবে সেবাযত্নের পর আহত সেই ছানাটি ২৮ দিনের মাথায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বেশ খানিকটা বড়ও হয়। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণের উপযোগী হয়ে ওঠায় গন্ধগোকুল ছানাকে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।