আবরার হত্যার চার্জশিট দ্রুততম সময়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:১৯ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১৪৩ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের পিটিয়ে হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আবরার হত্যার চার্জশিট দ্রুততম সময়ে দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কতৃর্পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে হলগুলোতে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে শুধু শুদ্ধি অভিযান নয়, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।

আবরায় হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে অমিত জড়িত কিনা তদন্তের পর বলা যাবে।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও।

এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।