আবরারকে মারতে বাধা দেয়ার সুযোগ ছিল না: তোহা

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ১২৮ বার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ রাব্বীকে মারতে বাধা দেয়া বা নিষেধ করার কোনো সুযোগ ছিল না বলে জানিয়েছেন মামলার আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালত তোহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরই ফাঁকে আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহা যুগান্তরকে বলেন, আবরারকে মারতে বারণ করা কিংবা বাধা দেয়ার সুযোগ ছিল না। পলিটিক্যাল প্রটোকল ভাঙলে (না মানলে) আমাদেরই উল্টো মারত। তাই আবরারকে শিবির সন্দেহে ধরে মারধর করা হয়।

এর আগে এদিন দুই আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা ও হোসেন মোহাম্মদ তোহার ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনে বলা হয়, ওই দুই আসামি ও তাদের সহযোগী আসামিরা গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থী আবরারকে শেরে বাংলা হলের তার রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়।

৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমের ভেতর নিয়ে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও লাঠি-সোটা এবং রশি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়।

আদালতে আসামি ইফতি মোশাররফ সকালের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই দুই (অমিত ও তোহা) আসামির নাম প্রকাশ করেছে।

এদিন দুপুর ২টা ৫২ মিনিটের দিকে আসামি অমিত ও তোহাকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। হাতে হাতকড়া পরিয়ে তাদের এজলাসের ডকে (আসামি রাখার নির্ধারিত স্থান) রাখা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে দিকে এজলাসে বিচারক আসলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খানসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আসামিদের রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, আসামি তোহা ২০১১ নম্বর রুমে থাকতেন। যা ছিল টর্চার সেল। আর উপরের নির্দেশে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায় তোহা। অত্যন্ত মেধাবী একটি ছেলে (আবরার) বুয়েটে গিয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে বলে। কিন্তু তার সহপাঠীরাই তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

অপরদিকে তোহার আইনজীবী আইয়ুব হোসেন আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামি তোহা সেদিন দেখছিলেন যে কি হচ্ছিল? আর সেটা দেখতে দিয়ে ভিডিও ফুটেজে তার ছবি আসে। তাকে আসামি না করে সাক্ষী করা যেতে পারে।