বেলার খোঁজে ২৪৪১১৩৯ নম্বরে ফোন, অঞ্জন দত্তের নামে মামলা
পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
১৯৯৪ সালে রিলিজ হওয়া অঞ্জন দত্তের সেই জনপ্রিয় গান ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি’ আজও প্রতিটা মানুষের প্লেলিস্টে বাজতে শোনা যায়। প্রেমে ছেঁকা খাওয়া ছেলে হোক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়- কারো কাছেই বিগত ২৭ বছরে একটুও পুরনো হয়নি এই গান। গানের জনপ্রিয় লাইল ‘এটা কি ২৪৪১১৩৯ বেলা বোস তুমি পাচ্ছ কি শুনতে’ – এই ফোন নম্বর প্রায় সকলেরই মুখস্ত। ডায়েল করেও দেখা হয়ে গেছে, নম্বরটা আসলে কার সেটা জানার উদ্দেশে।
অঞ্জন দত্তের ‘বেলা বোস’ গান নিয়ে শ্রোতাদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বেলা বোস আসলে কে? বেলা বোসকে কি ভালবাসতেন অঞ্জন দত্ত? তাকে ভালবেসেই কি এই গান লেখা? ২৪৪১১৩৯ নম্বর টা তাহলে কার? কেনই বা এই নম্বর ব্যবহার হল গানে? এসব প্রশ্ন ভিড় করে শ্রোতাদের মনে। তবে অনেকেই জানেন না, এই গানের পর অঞ্জন দত্তের নামে মামলাও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত শাশুড়ি বউকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তোমারও করোনা হোক’!
বেলা বোস বলে অঞ্জন দত্তের জীবনে কখনো কেউ ছিলেন না। কেবল কল্পনা শক্তি দিয়ে তৈরি অনবদ্য এই গানের কথা এবং সুর। তবে গানে ব্যবহৃত ওই ৭ সংখ্যার ফোন নম্বরটির অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। এই ফোন নম্বরটি আসলে ‘দৈনিক বিশ্বামিত্র’ নামে এক হিন্দি সংবাদপত্রের সম্পাদকের বাড়ির ফোন নম্বর ছিল। যা নিছকই কাকতালীয়ভাবে অঞ্জন দত্ত ব্যবহার করে ফেলেছিলেন তার গানে।
ব্যাস বাঙালির কৌতূহলী স্বভাব যায় কোথায়। বেলা বোসের খোঁজে সহস্র ফোন গিয়েছে ওই নম্বরে। সংবাদপত্রের সম্পাদক তার ফোন নম্বর ব্যবহারের জন্যে অঞ্জন দত্তের নামে আইনি মামলা করেন।
এই প্রসঙ্গে অঞ্জন দত্ত জানিয়েছিলেন, ‘এই গান লেখার জন্যে দুর্ভাগ্যবশত ওই সম্পাদক আমার নামে মামলা করেন। অভিযোগ করেছিলেন, আমি তার টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করেছি গানে। যদিও সেই মামলা আমরা জিতে যাই।’
তিনি জানান, ওই ব্যক্তির কাছে দিনে তিনশ’র বেশি ফোন আসত। অবশেষে সেই নম্বর বাতিল করে তাকে নতুন ফোন কিনে দিয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর